সমীকরণ প্রতিবেদক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার
ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর
রহমানের আদালতে প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহের
মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক
সুমন।
পেনাল কোডের ১২৩ (এ),
১২৪ (এ) ও ৫০০
ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য
ব্যারিস্টার সুমন আদালতে আবেদন
করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি
গ্রহণ করে আদেশ পরে
দেবেন বলে জানান।
অন্যদিকে একই অভিযোগে ঢাকা
বারের কার্যনির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম খলিল
তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম আবু
সুফিয়ান নোমানের আদালতে দণ্ডবিধি ১২৪
(ক) ধারায় তিনি মামলাটি
করেন। ইব্রাহীম খলিল পেনাল কোডের
১২৪ (এ) ধারা অনুযায়ী
প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
এর আগে গত শুক্রবার
(১৯ জুলাই) রাতে ফেসবুক
লাইভে এসে মামলা করার
ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেদিন তিনি
বলেন, ‘আমি তার বিরুদ্ধে
অবশ্যই মামলা করব, আপনারা
আমার পাশে থাকবেন।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬
জুলাই) হোয়াইট হাউসে ধর্মীয়
নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির
সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের
প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য
পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার
সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে
বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে
এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০
লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান
নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের
লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা
আমাদের দেশে থাকতে চাই।’
এরপর তিনি বলেন, ‘এখন
সেখানে ১ কোটি ৮০
লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের
বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর
পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি
দখল করে নিয়েছে। কিন্তু
এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক
পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতির সঙ্গে
এই নারীর সঙ্গে হাত
মেলান।
প্রিয়া সাহা আর মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার কথোপকথন প্রকাশ পেলে সমালোচনার
ঝড় ওঠে। বাংলাদেশ সরকারের
পক্ষ থেকেও তীব্র নিন্দা
জানানো হয়েছে।